হোসেন বাবলাঃ০৪সেপ্টেম্বর(শনিবার)
সম্ভাবনা ময় দক্ষিণ হালিশহর সাগর পাড় পর্যটন এলাকা! এক সময়ে সাগর-খাল আর নোনা জলরাশির বিশাল চর এলাকাটি দক্ষিণ হালিশহর মৌজার পশ্চিমতীরে বঙ্গোপসাগর নিকটবর্তী জায়গা ছিল ।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন আর সাগরের প্রকৃতির নিয়মে ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় এখন সংকোচিত হয়ে অনেকটাই শহর রক্ষাবাধেঁ(বেড়ীবাধঁ) নিকটবর্তী হয়েছে বঙ্গোপসাগরের অংশ।
বঙ্গোপসাগর-জলরাশি, জেলেদের মাছ ধরার উৎসহ,তরুণদের খেলার মাঠ, পর্যটকদের বিনোদনের স্থান এবং বণিকদের ব্যবসার জলপথ বা বে-টার্মিনাল আর আউটার রিংরোড প্রকল্প চালু হওয়াতে দক্ষিণ হালিশহর সাগর পাড় এলাকাটি এখন সম্ভাবনা ময় পর্যটন শিল্প হিসেবে ভাবা যাই।
পতেঙ্গা থেকে সীতাকুন্ড(ফৌজদার হাট )‘র দিকে পূর্বের বেড়ীবাধঁ দিয়ে চার লেইনেরআউটার রিংরোড প্রকল্প চালু হওয়াতে এখন শহরের প্রত্যন্ত এলাকা তেকে সী-বিচ সমূদ্র সৈকত এলাকায় বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা অনাশায়ে দক্ষিণ হালিশহর সাগর পাড় পর্যটন এলাকায় ঘুরার জন্য উপযোক্ত মনে করতে পারেন।
বছর দুয়েক আগেও এই বেড়ী বাধেঁর পাশে সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতীর বৃক্ষরাশি দিব্যমান ছিল। আর বাধেঁর নিচের অংশে ছিল সবুজের লাভার গোটা বৃক্ষ,গ্যাওড়া বৃক্ষ ও জলোচ্ছাস প্রতিরোধক ঝাউগাছ আর শালবৃক্ষ।তার একটু নিচে ছিল মাছের ঘেড় বা মৎস্যচাষ প্রকল্প।
দক্ষিণ-পশ্চিমের বঙ্গোপসাগর কাছে থাকায় জেলে সম্প্রদায় লোকেরা নৌকা-বোর্ড আর ছোট ছোট ডিঙ্গি সাপ্ম্পান দিয়ে সমূদ্র থেকে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ সহ দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকার মানুষের মাছের চাহিদা তথা আমিষের চাহিদা পূরণ করতো। কিন্তু কাল ভদ্রে সেই কথা-ছবি আর দৃশ্য এখন রূপকথার গল্প কে হার মানিয়েছে। জেলেদের অবস্থা এখন তেমন একটা ভালো নেই।
ইপিজেড আর বিভিন্ন শিল্প-কারখানা স্থাপনের ফলে জেলে সম্প্রদায় কে হতে হয়েছে ভিটে-বাড়ী ছাড়া। তারা এখন সব হারিয়ে সাগরের কূল ঘেষে কিছু পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।সাগরে আর আগের মতো মাছ পড়েনা জালেও এখন ভরসা পাচ্ছে না দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর অঞ্চলের জেলেরা।
কেউ কেউ হয়তো চসিকের সেবক ,কেউবা গামেন্টস শিল্পে মালি-সুইপার কিংবা লেবারের অথবা মহিলারা হেলপারের কাজ করে অতিশষ দূর্বিসহ জীবন পার করছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাদের উপর নেমে আসে আরো কঠিন দূর্যোগ…!
সব ছাড়িয়ে এই অঞ্চলে যদি আধুনিক ছোয়াঁয় পর্যটন এলাকা হিসেবে রূপ দেওয়া যাই তাহলে আশ-পাশের বাসিন্দাদের কিছুটা আর্থিক স্বচ্ছলতা আসতে পারে। বেচেঁ থাকার জন্য এই অঞ্চলের মাণুষের এখন একটাই প্রত্যাশা উন্নয়নের হাওয়ায় যেন তারা জীব ওজীবন বৈচিত্রময় বদল করে কোন মতে বেঁচে থাকতে পারেন।
বে-টার্মিনাল আর আউটার রিংরোড প্রকল্প হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শানার্থী বিশেষ করে শুক্রবার সহ যেকোন বন্ধের দিনে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাই। এই সম্ভাবনা কে সঠিক কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকাকে বিশেষ পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলতে পারলে বদলে যাবে অসহায়দের কষ্টের জীবন আর শাররিক সুস্থ্যতায় প্রকৃতির রূপকে ভালোভাবে উপভোগ্য করবে এই অঞ্চলের জনগণ।
Discussion about this post