কর্ণফুলী নদীতে বাড়তি মাশুল আদায়ের প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন

হোসেন বাবলাঃ১৬সেপ্টেম্বর 

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে  কর্ণফুলী নদীর মাঝিরা বাড়তি মাশুল আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেন কর্ণফুলী নদীর মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারশেন। বিক্ষুদ্ধ মাঝিরা এসময় হাতে লগি-বৈঠা এবং বাশঁ-রশ্নি নিয়ে ভিন্নতা প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন

এসময় উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী নদীর গবেষক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক আলীউর রহমান, বাংলাবাজার সাম্পান সমিতির সভাপতি লোকমান বয়াল, চর পাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাফর আহম্মদ, বাংলাবাজার সাম্পান সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাক মো. ইউছুফ, অর্থ-সম্পাদক জসিম উদ্দীন প্রমুখ।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন মাঝিরা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে পারাপার করা পোশাকশিল্পের শ্রমিক, সবজিচাষি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মাঝিদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এ বিষয়ে সিটি মেয়রকে ১৫ দিন আগে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারণে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন।

৪র্থ দিনের মতো বাংলাবাজার ঘাট থেকে সাম্পান চালানো বন্ধ রাখেন মাঝিরা।
চসিক ইজারা না দিলে একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে জনপ্রতি ২ টাকা করে টোল আদায় করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু চসিক তা না করে স্থানীয় লোক দিয়ে টোল আদায় করছে। তারা ২ টাকার স্থলে ৫ টাকা করে নিচ্ছে।

কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা সাংবাদিক আলীউর রহমান পূর্বকোণকে বলেছিলেন, ‌‘কর্ণফুলীতে যত ঘাট আছে, সবগুলো সিটি করপোরেশন ইজারা দেয়, মাঝিরা নেয়। মাঝিরা যাত্রীপ্রতি দুই টাকা করে সিটি করপোরেশনের জন্য রাখে। আর যে ঘাটে টোল কম সে ঘাটে একটাকা করে সিটি করপোরেশনকে দেয়।

কিন্তু এই ঘাটটি সিটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে দিয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদা তুলে কিছু সিটি করপোরেশনকে দেয়। আর কিছু ওরা নিয়ে নেয়। এটি নিয়ে গত সপ্তাহে আমরা সরাসরি মেয়রকে লিখিত অভিযোগ করেছি। মেয়র সেটা পাসও করেছেন। এর পরও এ ব্যাপারে কোনো অ্যাকশান নেওয়া হয়নি।’

ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমান বলেন, ‘ঘাটটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে ২ টাকার বদলে ৫ টাকা আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য চসিককে চিঠি দিয়েছি। তবুও চসিক স্থানীয় লোক দিয়ে যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য মাঝিরা ধর্মঘট শুরু করেন।

আমরা মনে করি, ঘাটটি ইজারা না দেওয়ার ক্ষেত্রে চসিকের নিজস্ব লোক জড়িত আছে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে   জোর দাবি করে  বলেন সভাপতি লোকমান।