সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর ই-অকশন (অনলাইন নিলাম) এবং ম্যানুয়াল নিলামে গাড়িগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এই নিলামে ১১২টি বিলাসবহুল গাড়ি তোলা হবে। এর আগে গত ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা চার বার নিলামে তুলেও প্রত্যাশিত দর না পাওয়ায় প্রতিবারই নিলাম বাতিল করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কার্নেট গাড়ির নিলাম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কমিশনার মো. ফখরুল আলম এ কথা বলেন।
কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, নিলামের জন্য রাখা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস, মিৎসুবিসির মতো দামি ব্র্যান্ড।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিপুল জায়গা দখল করে রাখা ওই ১১২টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলাম প্রক্রিয়ায় বিক্রির জন্য গত ২৪ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস গোয়েন্দা ও নিলাম) সাদিয়া আফরোজ গাড়িগুলো ই-অকশনের তোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত দেন।
কাস্টমসের নিলাম শর্ত অনুযায়ী, যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নিতে পারবে। টেন্ডারে অংশ নেওয়ার সময় শিডিউলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ অথবা টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। প্রদত্ত কোটেশনের ১০ শতাংশ হারে ব্যাংক ড্রাফট অথবা পে-অর্ডার চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের অনুকূলে জমা দিতে হবে।