দেশের প্রথম সারির নায়িকা মাহিয়া মাহি। রূপ-লাবণ্যে অনেকের চেয়ে এগিয়ে। অভিনয়েও ছড়াতে জানেন মুগ্ধতার দ্যুতি।
সেই সুবাদে দেশজুড়ে তার অগণিত ভক্তও রয়েছে। যারা তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, কল্পনার রাজ্য সাজান। তাদের কাছে স্বপ্নের নায়িকা কিংবা নারী যেন মাহিয়া মাহি।
কিন্তু মাহির নিজের কাছে তিনি কেমন? তার জবাব, একদম সাধারণ। আসলে প্রতিদিন তিনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন নিজেকে দেখে তার মিশ্র ভাবনা আসে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে মনে বলেন, ‘আল্লাহ বাঁচিয়েছে, এখন কেউ দেখছে না!’ কথাটির ব্যাখ্যাও দিলেন মাহি। বললেন, ‘ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেকে এতো বিধ্বস্ত লাগে, তখন মনে হয়, এরকম অবস্থায় দেখলে আমাকে কেউ নায়িকা বানাত না।’নায়িকা হলেও মাহি একজন মানুষ, তারও আছে মন, মন খারাপ। তো মাহির মন যখন খারাপ হয়, তিনি কী করেন? জবাবটি শুনলে অবাক হবেন যে কেউ। কারণ তিনি একেবারে ব্যতিক্রম উপায়ে নিজের মন খারাপ দূর করেন।
মাহি বলেন, ‘যখন আমার মন খারাপ থাকে, তখন আমি হকারদের কাছ থেকে একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনে ফেলি। যেমন কেউ ক্যান্ডি ফ্লাওয়ার বিক্রি করছে। ধরলাম তার কাছে দুই’শটা ক্যান্ডি ফ্লাওয়ার আছে, আমি সবগুলো কিনে ফেলি, কেনার পর তাৎক্ষনিক ওই মানুষটার মুখে যেই হাসিটা আসে, ওটা দেখলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। ’গত মার্চ মাসে একসঙ্গে ১০০টি বাঁধাকপি কিনেছিলেন মাহি। নিজের নতুন গাড়ি ভর্তি করে ফেলেছিলেন বাঁধাকপিতে। ওই ঘটনার রেশ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি তখন রাজশাহীতে ছিলাম। খুব মন খারাপ ছিল। গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক ক্ষেত থেকে অনেকগুলো বাঁধাকপি ওঠাচ্ছে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করি, কয়টা আছে। তিনি বলেন- ১০০টি। এরপর আমি শুঁকে দেখলাম যে, কোনো গন্ধ আছে কিনা। দেখি কোনো গন্ধ নেই। এরপর গাড়ির ভেতরে রাখতে বলি সবগুলো।’
ওই ঘটনায় বিপাকেও পড়েছিলেন মাহি। জানালেন, বাঁধাকপিগুলো গাড়ির ভেতরে রাখার ঘণ্টাখানেক পর ওগুলো থেকে গন্ধ আসতে থাকে। সেই সঙ্গে কিছু পোকা বের হয়ে গাড়িতে ছড়িয়ে যায়। নতুন গাড়ির ওই হাল দেখে পরে আরও বেশি মন খারাপ হয়ে যায় মাহির।
Discussion about this post