লিভারপুলে কিংবদন্তি স্কটিশ ফুটবলার বিল শ্যাঙ্কলি বলেছিলেন, ‘অনেকে মনে করে ফুটবলটা জীবন-মরণের ব্যাপার, কিন্তু আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি এটা তার চাইতেও বেশি কিছু’। তবে ফুটবলের মাঠে নয়, এমন ঘটনার বাস্তব উদাহরণ তৈরি করেছেন পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দেশ প্রেমের অনন্য এক উদাহরণ গড়ে, দুই দিনের মধ্যে আইসিউ থেকে তিনি ফিরেছেন ক্রিকেটের মাঠে। তার এমন ঘটনা, নেট দুনিয়ায় এখন ভাইারল।
সস্তা আয়নাবাজি কিংবা পেইনকিলার তত্ত্ব ভুলে যান। শুনুন তবে দেশপ্রেম আর চোয়ালবদ্ধ সংকল্পের এক মনোমুগ্ধকর গল্প। গল্পটা রিজওয়ানের।
সেমিতে ওয়েড ম্যাজিকে ম্যাচটা হয়তো হেরে গেছে পাকিস্তান। তবে সব হারেই লেখা হয় না এপিটাফ। কিছু কিছু হারের মহত্ত্ব টিকে থাকে যুগের পর যুগ, হয়ে থাকে উদাহরণ। তাই করে দেখালেন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
প্রথমে ঠাণ্ডা সমস্যা সেখান থেকে সংক্রমণ। কিন্তু পরিস্থিতির দ্রুতই হয় অবনতি। ফলাফল হাসপাতালের কেবিন থেকে যেতে হয় আউসিউতে। টিমের মনোবল যাতে ভেঙে না পরে তাই পুরো বিষয়টি রাখা হয়েছিল গোপন। জানানো হয়নি বাইরের কাউকে।
তবে সত্যিকারের যোদ্ধারা তো লড়ে সংকটেও। তেমনি মিরাকল কিছু ঘটল রিজওয়ানের ক্ষেত্রে। খুব অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত সুস্থ হন এই ওপেনার। এমনকি ম্যাচের আগে হন পুরোপুরি ফিট। সেমিতে খেলেন ৫২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে পুরো ঘটনা সবার সামনে এনেছেন পাকিস্তান দলের চিকিৎসক নজিব।
মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আক্তার তো পুরো ঘটনাকে দৃষ্টান্ত বলছেন ক্রিকেট বিশ্বের জন্য। বিশ্বের প্রভাবশালী সব সংবাদমাধ্যমেও বড় করে এসেছে রিজওয়ানের এমন বিরল ঘটনা।
তাইতো ম্যাচ হারের বিষাদ নয়, মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি পুরো আসরে যে নম্রতা, যে দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছ বাবরের দল, তাতে ক্রিকেট ফ্যান হিসেবে গর্ব আপনার হতেই পারে।
Discussion about this post