টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার (৩৮) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে নামাজে জানাযা শেষে দেওলা, কান্দিলা ও কোদালিয়া সমন্বিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন, মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।
এর আগে বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রেজাউল করিমের। তিনি শহরের দেওলা এলাকার মো. আজাদ আলমগীরের ছেলে। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে।
শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার আগে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে ফারুক আহমেদ হত্যার বিচারের দাবিতে আমানুর ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়, সেখানে রেজাউল সক্রিয় ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী হামলার পর রেজাউলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো মামলা করা হয়নি। গত ২১ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় রেজাউল করিম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হাত, পা, মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় তাকে।
রেজাউলের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ যৌথ উদ্যোগে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে সমাবেশ করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা না হলেও তারা রেজাউলের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Discussion about this post