বাংলাদেশের ছবিতে প্রথমবার অভিনয় করছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। ছবির নাম ‘প্রিয়া রে’। এতে তার বিপরীতে আছেন ঢালিউডের তরুণ নায়ক শান্ত খান। শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে এই ছবিটি নির্মাণ করছেন পূজন মজুমদার। ছবিটির দ্বিতীয় ধাপের শুটিং করতে দুই মাস পর আবারও চাঁদপুরে এসেছেন কৌশানি। শুটিংয়ের ফাঁকে বাংলা ট্রিবিউন-এর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’-খ্যাত এই নায়িকা। যে আড্ডায় উঠে এসেছে কৌশানির প্রেম, বিয়ে, রাজনীতি আর সিনেমার গল্প।
এটা খুব রোমান্টিক স্টোরি। কাজ অনেকটাই শেষ। অ্যাকশন, ক্লাইমেক্স শেষ। গানের শুটিং বাকি। কাজ খুব ভালো হচ্ছে আমাদের।
এখানে এই যে মাঠে বসে ইন্টারভিউ দেওয়া। মাঠের মধ্যেই শুটিং করা। মাঠে বসেই নেক্সট শটের অপেক্ষা করা।
এটা অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা। ইউজুয়ালি আমরা ওখানে (টলিউডে) শট শেষে ভ্যানিটি ভ্যানে ঢুকে পড়ি। এতো মানুষের মাঝে বসে গল্প করা সচরাচর হয় না। মজাই লাগছে।
বাংলাদেশে প্রথম ছবি
আমার প্রথম বাংলাদেশের ছবি। এটা আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমার ডিরেক্টর পূজনেরও এটি প্রথম ছবি। তো বেশি চোখে লাগছে এই দেশের মানুষের আগ্রহের বিষয়টি। আমি চাঁদপুরে আছি। কিন্তু চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আমাকে সবাই নক করছে- তাদের জেলায় কবে যাবো! মনে হচ্ছে আমি বাংলাদেশ সফরে বেরিয়েছি। বাট তাদের এই আগ্রহগুলো আমাকে স্পর্শ করে।
আরেকটা বিষয়, এখানে আমার বিপরীতে আছে শান্ত খান। ওর সঙ্গেও আমার প্রথম কাজ। তো এখানে আসার পর ওর সঙ্গে আমিই প্রথম বন্ধুত্ব করেছিলাম। কারণ আমি অনেক সহজে মিশতে পারি। ওর সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ডিং হয়ে গেছে। আর মানুষ হিসেবেও সে খুব ভালো। তার একটা গোল্ডেন হার্ট আছে।
তো আমার বিশ্বাস ৮ থেকে ৮০ বছরের দর্শকরা এই ছবিটি দেখতে পারবেন। কারণ এর গল্পটাই গল্পনির্ভর।
ছয় বছরের ক্যারিয়ার
কৌশানিকে সবাই জানে স্ট্রং ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট একজন মানুষ হিসেবে। সেই জায়গা থেকে নিজেকে আরও স্ট্রংগার ও স্ট্যাবলিশ্ড করতে চাই। আমি অলরেডি স্ট্যাবলিশ্ড। কারণ, এখন নিজের ফ্যামিলিকে নিজেই টেককেয়ার করতে পারি। আমি একাই একশ। বাট সামনে আমার কিছু প্ল্যান আছে। যেমন প্রোডাকশন হাউজ খোলার একটা প্ল্যান আছে। সেগুলো করবো
রাজনীতির ভাবনা
আমার ইচ্ছা ছিলো মানুষের সেবা করা। সেজন্যই রাজনীতিতে আসা। নির্বাচন একটা মাধ্যম মাত্র। না জিতেও মানুষের জন্য করা যায়। মানুষের সেবা আমি করে চলেছি।
দলের নেত্রীর পরামর্শ নিয়েই আমি চলছি। দিদির পরামর্শ নিয়েই আমি সামনে আগাতে চাই। সামনে একটা ইলেকশনও আছে। আশা করছি বড় কিছুই হবে।
আমার একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে। আমি যথেষ্ট ইয়াং। এখনই বিয়ে করে ঘরে বসে যেতে চাই না। আমার অনেক কাজ করতে হবে। আর কিছুদিন আগে আমার জীবনের অনেক কিছু বদলে গেছে। আমার মা মারা গেছেন।
ফলে এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আমি বিয়ের গল্পটা করতে চাই না। এখন বনি যদি ভাবে আমরা ২০২৩ সালে বিয়ে করবো, তো সেটা তার প্ল্যান। কিন্তু আমি এখনি এসব নিয়ে বলতে পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারি, বিয়ে যেদিন হবে, যার সঙ্গে হবে আমি সবাইকে দাওয়াত করেই জানাবো।সুত্রঃ কক্সবাজার ।
Discussion about this post