নগরীর বাজার পলিথিনমুক্তকরণ সভায় চসিক মেয়রপরিবেশবান্ধব নগরী গড়তে পলিথিন বর্জন করুন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরী থেকে পরিবেশ দূষণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী উপাদান পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে নগরবাসীর সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য।
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, কাজীর দেউরী ও কর্ণফুলী মার্কেটগুলো আগামী ১ডিসেম্বর থেকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে নগরবাসীর সহযোগিতায় অন্যান্য কাঁচাবাজার, দোকানপাটগুলোকে এর আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাইকিং, প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
পরবর্তীতে এ নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানাসহ কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ২০ফিট স্তরে পলিথিন জমাট হওয়ার কারণে জাহাজ চলাচলে যেমন বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য যে ড্রেজিং করার প্রয়োজন তাও প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কর্ণফুলীকে না বাঁচাতে পারলে চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে যাবে এবং এর কুপ্রভাব সারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবে।
তিনি আরো বলেন, পলিথিন শুধু জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে না, এর কারণে মাটির উর্বরতা, পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির সৃষ্টি করে।
সে কারণে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব নগরী হিসেবে গড়তে, কর্ণফুলী নদী রক্ষার মাধ্যমে বন্দরকে সচল রাখতে এবং জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ পেতে হলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে পাট বা কাপড় বা নন ওভেন ফেব্রিক্সের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নুরুন্নবী এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর অনেক কার্যক্রম হাতে নিলেও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেক লাঘব হবে এবং পরিচ্ছন্ন নগর পাবে নগরবাসী।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম বলেন, পলিথিন আসার আগে বাজারে মানুষ থলে নিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস ছিল তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারলে পরিবেশদূষণকারী পলিথিনের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো।
পলিথিন মুক্তকরণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকালে পৃথক পৃথক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশগুলোতে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, নুর মোস্তফা টিনু।
পরিবেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, শাহেদ ইকবাল বাবু, আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম, মো. জাবেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, হুরে আরা বেগম, শাহীন আক্তার রোজি, রুমকী সেনগুপ্ত, তসলিমা বেগম (নুরজাহান), জাহানারা বেগম পপি,
চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, আমিনুল হক রঞ্জু, মো. নুরুন্নবী, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন,
এ.কে.এম হাবিবুল্লাহ, আব্দুল জলিল, শেখ হারুনুর রশীদ, মো. সোলায়মান, আব্দুল হাকিম, কায়সার আহমদ, জাফর আহমদ, ওসমান গণি, মো. মুসা খান, হাসান মাহমুদ,
হাসিনা আকতার টুনু প্রমুখ। সমাবেশে কোরান তেলাওয়াত করেন চসিক মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
Discussion about this post